Thursday 15 July 2021

 

       

            সাহিত্যে পরিবেশ-প্রকৃতি ও মানবজীবনের টানাপোড়েন

         সাহিত্যে মহামারি প্রসঙ্গ ও মানবজীবনে তার প্রভাবঃপ্রসঙ্গ এপার ও অপার বাংলার উপন্যাস

                                                         -ডঃ মীনাক্ষী পাল

 


আমাদের এই ধরাভূমি যেমন প্রকৃতির অকৃপণ আশীর্বাদের ফলস্বরূপ সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা,তেমনি আবার নানান সামাজিক ও প্রাকৃতিক কারণে রোগশোকের আবির্ভাবও এখানে নুতন কিছু নয়

বর্তমানে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে গোটা পৃথিবী করোণার(COVID-19) ভয়াবহ দুর্যোগের সময় অতিবাহিত করছেকিন্তু এর আগে আমরা জানি বহুবার পৃথিবীতে মহামারি এসেছে, কিন্তু সমগ্র পৃথিবীর মানুষ সম্ভবত একই সঙ্গে এমন মহামারির মুখোমুখি হয়নিআমরা বাংলা সাহিত্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন সাহিত্যিকদের লেখায় মহামারি প্রসঙ্গ বিভিন্নভাবে উঠে আসতে দেখি,কিন্তু এমন কোন মহামারির কথা সম্ভবত  কোথাও লেখা নেই,যে কিনা একই সঙ্গে গোটা পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে




মহামারিচিরদিনই মাববসভ্যতায় মহাত্রাস নিয়ে এসেছে,এবং জনজীবনকে করেছে বিপর্যস্ত এইমহামারিশব্দটির সঙ্গে বাঙালির পরিচয় ঘটেছে কয়েক শতক আগেই,তবে তা কখনো মড়ক,কখনো মহামারি আবার কখনো ওলাওঠা বা ওলাবিবি,মড়িবিবি, ঝোলাবিবি নামেও সুপরিচিত ছিলব্যাধির বীজভরা কুঁজ নিয়ে তারা আসত দুর্দণ্ড প্রতাপে এবং মরণদণ্ড ঘোরাতে ঘোরাতে নিঃশেষ করে দিত জনপদের পর জনপদকত গ্রাম, কত গঞ্জ যে নিঃশেষ হয়েছিল তার কোন হিসেব নেই, আবার এটাও বলা চলে হিসেব রাখাটাও হয়তো সম্ভবপর ছিল নাআর, এমনই সব মড়কের কথা উঠে এসেছে বাংলা উপন্যাসেওবাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত সকল ঔপন্যাসিকের লেখায় বারবার স্থান করে নিয়েছে সেইসকল মহামারি প্রসঙ্গআর যদি বিশ্ব সাহিত্যের দিকে তাকানো যায়,তাহলে আমরা দেখবো ১৯১২ খ্রিঃ প্রকাশিত জ্যাক লণ্ডনএর- “ The scarlet pledge”, ১৯৪৫ খ্রিঃ আলবেয়ার কামু- “ The Pledge”,  ১৯৭০ খ্রিঃ গাব্রিয়াল গার্সিয়া মার্কেজএর-“One hundred years of solitude”, ১৯৭৮খ্রিঃ প্রকাশিত স্টেফেন কিং এর- “ The stand”, ১৯৮৫খ্রিঃ প্রকাশিত গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজএর- “Love in the time of colera”, ১৯৯৫ খ্রিঃ হোসা দি সোসা সামারাগএর- “Blindness”, ২০১৭খ্রিঃ ডেয়ন মেয়েরএর- “Fever”, ২০১৮খ্রিঃ প্রকাশিত লিনা মা-“Severance” উপন্যাসেও আমরা ডেঙ্গু, প্লেগ, স্প্যানিশ ফ্লু, স্মল পক্স (Small pox) নামক মহামারির কথা বারবার এসেছে এবং পেণ্ডেমিক, আইসোলেশন, আম্বুলেন্স, কোয়ারান্টাইন, লকডাউন, সোসিয়াল ডিস্টেন্সিং ইত্যাদি শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচিতিও ঘটে


বাংলা সাহিত্যেও এসেছে এই মহামারি প্রসঙ্গ
,কখনো প্রত্যক্-কখনো পরোক্ষ,কখনো সংক্ষিপ্ত-বিস্তারিতভাবেতবে বাঙালির গৃহস্থলিতে তার নাম মহামারি ছিল না,ছিল মড়কতবে, এদেশে চিরপ্রচলিত আর পাঁচটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো মড়কো এসেছে এবং তার দুর্দণ্ড প্রতাপ খাঁটিয়ে একসময় বিদায়ো নিয়েছে স্বাভাবিক নিয়মেই

প্রসঙ্গত উল্ল্যেখ্য রবীন্দ্রনাথের প্রথম বাহির যাত্রা ডেঙ্গুর কারণেইজীবনস্মৃতিতে তিনি সেকথা জানিয়েছেন-

   একবার কলিকাতায় ডেঙ্গুজ্বরের তাড়ায় আমাদের বৃহৎ পরিবারের কিয়দংশ পেনেটিতে ছাতুবাবুদের বাগানে আশ্রয় লইলআমরা তাহার মধ্যে ছিলাম ----এই প্রথম বাইরে গেলাম 

-বর্তমানে একটি পরিচিত শব্দ কোয়ারেণ্টাইন, যার ঈষৎ ইঙ্গিত মেলে রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্রের এই বর্ণনাতে



ঠাকুর পরিবারেও এই মহামারির প্রবেশ ঘটে বলে জানা যায়, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিশুকন্যাও মারা যায় প্লেগেতবে,শান্তিনিকেতনে মহামারি প্রবেশ করেনি,এর কারণ হিসেবে চিঠিপত্রের ষষ্ঠ খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ পঞ্চতিক্ত পাচনের(নিম,গুলঞ্চ,বাসক,পলতা,কণ্টকারি) গুনের কথা জানান

রবীন্দ্রনাথেরচতুরঙ্গউপন্যাসে(১৯১৪খ্রিঃ প্রকাশিত) আমরা দেখতে পাই প্লেগে জ্যাঠামশাইয়ের মৃত্যুর কথানাস্তিক জ্যাঠামশাই বাড়িতেই প্রাইভেট হাসপাতাল খুলে গরিব মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেনকিন্তু, তিনিও আক্রান্ত হন এই রোগে লেখকের বর্ণনায়-

    যে বছর কলিকাতা শহরে প্রথম প্লেগ দেখা দিল, তখন প্লেগের চেয়ে তার রাজ-তকমা পরা চাপরাসির ভয়ে লোকে ব্যস্ত হইয়াছিলপাড়ায় প্লেগ দেখা দিলপাছে হাসপাতাল ধরিয়া লইয়া যায় এজন্য লোকে ডাক্তার ডাকিতে চাহিল না  জগমোহন স্বয়ং প্লেগ হাসপাতাল দেখিয়া আসিয়া বলিলেন, ‘ব্যামো হইয়াছে বলিয়া তো মানুষ অপরাধ করে নাইতিনি চেষ্টা করিয়া নিজের বাড়িতে প্রাইভেট হাসপাতাল বসাইলেন




রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও আমরা যদি শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের দিকে তাকাই,তাহলে আমরা সেখানেও বারংবার পাই এই মহামারি প্রসঙ্গ১৯১৪খ্রিঃ প্রকাশিতবিরাজ বৌউপন্যাসে কলেরা বা ভেদবমি সংক্রমণের কথা জানা যাচ্ছেবিরাজ তার অসুস্থ স্বামী নিলম্বরকে উদ্দেশ্য করে বলে-

    ঘরে ঘরে জ্বর ঘরে ঘরে বসন্ত-এই রোগা দেহ নিয়ে রোগী ঘাটতে চলল-আচ্ছা যাও আমারো ভগবান আছেন

১৯২০ খ্রিঃ প্রকাশিত শরৎচন্দ্রেরগৃহদাহউপন্যাসেও আমরা দেখতে পাই প্লেগ ও মহামারি মাঝেমধ্যেই উপন্যাসে ক্যানভাস হিসেবে আসছে এবং উপন্যাসের শেষে সুরেশ তার যাবতীয় অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত করতেই কঠোর প্লেগের মাঝে রোগীদের সেবা করতে গিয়েই নিশ্চিন্ত মৃত্যুমুখে নিজেকে ঠেলে দেয়

তাছাড়া, ১৯২৩ খ্রিঃ প্রকাশিত শরৎচন্দ্রেরদেনাপাওনাউপন্যাসে জীবনানন্দের মতো পরাক্রান্ত ভূস্বামীকে কাঁদতে দেখা যায় গৃহহীন উমাচরণের কলেরায় মৃত স্ত্রীর খবর শুনেজীবনানন্দের ভাষ্য লেখকের বর্ণনায়

   এই ফাল্গুনের শেষে বিসূচিকা রোগে তাহার স্ত্রী মরিয়াছেউপযুক্ত দুই পুত্র একে একে চোখের উপর বিনা চিকিৎসায় প্রাণত্যাগ করিয়াছে,সে কোন উপায় করিতে পারে নাইঅবশেষে জীর্ণ ঘরখানি সে তাহার বিধবা ভ্রাতুষ্কন্যাকে দান করিয়া চিরদিনের মতো গৃহত্যাগ করিয়া আসিয়াছেএ জীবনে আর তাহার ফিরিবার আশা নাইএই বলিয়া সে ছেলেমানুষের মতো হাউহাউ করিয়া কাঁদিতে লাগিলজীবনানন্দের চোখ দিয়া টপটপ করিয়া জল পড়িতে লাগিল

এই সকল মহামারি বিভিন্ন দশকে ও শতকে বিভিন্ন নামে বাংলা ভারতে এসেছেকখনো প্লেগ, কখনো কলেরা, কখনো এইডস্‌,কখনো ডেঙ্গু, টাইফয়েড, সোয়াইন ফ্লু, কখনো বার্ড ফ্লু, আর বর্তমানে করোনা বা    কভিড- ১৯কিন্তু, যখনই আসত তখনই চোখের নিমেষে শেষ করে দিত জনপদের পর জনপদকত গ্রাম, কত গঞ্জমানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৯৩৬খ্রিঃ প্রকাশিতপুতুল নাচের ইতিকথাউপন্যাসের গাওদিয়া গ্রামও ছিল সেসকল জীবানুর তীর্থ



উপন্যাসের নায়ক শশী চেয়েছিল দুঃখী মানুষগুলোর সেবা করতে,তাই সে নিজের গ্রাম গাওদিয়ায় থাকতে চেয়েছিলগাওদিয়া গ্রামের প্রকৃতি ছিল নিষ্করুণ,তবে গ্রামের অন্যতম বিপদ ছিল মহামারিপ্রায়ই ছড়িয়ে পড়ত কলেরা, টাইফয়েড, কালাজ্বর ও বসন্তের মতো রোগগুলোশশী ডাক্তার তার সাধ্যের সীমা অবধি চেষ্টা করেছিল, কাউকে কাউকে সারিয়েও তুলেছিলকিন্তু তার একার পক্ষে  কতদূর সম্ভব! গ্রামের মানুষের নিমজ্জিত ছিল অশিক্ষায় ও কুসংস্কারেস্বাস্থ্য বিধির কোন নিয়মই তারা জানত না, জানলেও পালন করত নাবর্ষা এবং বসন্ত ঋতু তাই সুন্দর ছিল নামানিক বন্দ্যোপাধ্যায় আদ্র- কর্দমাক্ত পল্লিকে তাই দেখিয়েছেনজীবানুর তীর্থহিসেবেশশী ডাক্তারের কাছে গাওদিয়ার গ্রাম ছিল অত্যন্ত নরক পর্যটনযা লেখকের বর্ণনায় সুন্দরভাবে ফুটে উঠে, সেইসঙ্গে উঠে আসে গাওদিয়া গ্রামের জনগনের গ্রাম ও মহামারি সম্পর্কের ধারণার কথা

   পূজার পর গাওদিয়ার স্বাস্থ্য ক্রমে ক্রমে ভালো হয়ম্যালেরিয়া কমিয়া আসে,কলেরা বন্ধ হয়,লোকের ক্ষুধা বাড়ে, মাছ-দুধ সস্তা হয়নিউমুনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় কেবল দুই-দশজন মারা যায়সে কিছু নয়

অপার বাংলার কথাসাহিত্যিকদের লেখনীতেও এই সকল মহামারি স্থান করে নিয়েছিল এপার বাংলার মতোবিখ্যাত কথাসাহিত্যিক জহির রায়হানেরহাজার বছর ধরে”(১৯৬৪ খ্রিঃ) উপন্যাসে কলেরা মড়ক বর্ণিত হয়েছেসেখানেও এসেছে ভেদবমি, ওলাবিবি প্রসঙ্গ হিন্দুর লৌকিক দেবী ওলা চণ্ডীকে মুসলমানেরা বলে ওলাবিবিসেই ওলাবিবির পাদুর্ভাবে শান্ত একটি গ্রামের জীবনযাত্রা কীভাবে পাল্টে যায়,তাই বর্ণিত হয়েছে উপন্যাসটিতে

সেই ওলাবিবির প্রকোপে সেখানে একসঙ্গে মাঝি বাড়ির দুদুটি প্রাণ ছাড়াও আরো দশ-বারোটি প্রাণকে চলে যেতে হয়লেখকের বর্ণনায়-

   নন্তু শেখ মারা গেলহাঁপানি জর্জর-করিম শেখ মৃত বাবার দেহের পাশে বসে কাঁদছেঅম্বিয়া কাঁদছে তার বিছানায় শুয়েওলাবিবি তাকেও ভর করেছেতাই বিছানা ছেড়ে ওঠার শক্তি পাচ্ছে না মেয়েটাসেখান থেকেই কাঁদছে সে

-এই যে ওলাবিবির প্রসঙ্গ লেখক এনেছেন,সেই ওলাবিবির পরিচয় দিতে গিয়ে মকবুলের প্রথমা পত্নী আমেনা তার ছোট সতীন টুনিকে বলে-

   ওলাবিবি, বসন্তবিবি আর যক্ষ্মাবিবি ওরা ছিল তিন বোনতিন বোন একপ্রাণযেখানে যেত একসঙ্গে যেত--- একদিন যখন খুব সুন্দর করে সেজেগুজে ওরা রাস্তায় হাওয়া খেতে বেরিয়েছিল তখন হঠাৎ হজরত আলীর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল ওদের---তিনি বুঝতে পারলেন এদের একজন কলেরা, একজন বসন্ত আর একজন যক্ষ্মাবিবিমানুষের সর্বনাশ করে বেড়ায় এরাআর তহনি এক কাণ্ড কইর্যা বসলেন তিনিখপ কইর্যা না ওলা বিবির একখান হাত ধইর্যা দিলেন জোরে এক আছাড়আছাড় খাইয়া একখানা পা ভাইঙ্গা গেল ওলাবিবির

-প্রসঙ্গত উল্ল্যেখ্য, এই কল্পকাহিনীর উপর ভিত্তি করে পরীদিঘির পারের গ্রামের লোকেরা ওলাবিবিকে খোঁড়া বিবি বলেও কৌতুক করতশুধু তাই নয়, তারা গ্রামে খোঁড়া যেকোন কিছু যেমন কুকুর,মোরগ,গরু, শিয়াল এমনকি মানুষ দেখলেও ভেবে নিত সেটা ওলাবিবিরই প্রতিরুপতাই গ্রামের সকলকে মকবুল জানিয়ে দেয় খোঁড়া যে কোন কিছুই নজরে আসলে তাকে তাড়িয়ে যেন খাল পার করে দেয়কিন্তু, গ্রামের সকলের চোখে ধুলো দিয়ে সেখানেও ওলাবিবি আসে এবং অবশেষে চলেও যায়লেখক জানান-

    অবশেষে আরও দশটি প্রাণ হরণ করে তবে গ্রাম থেকে বিদায় নিলেন ওলাবিবিগ্রামের সবাই মসজিদে সিন্নি পাঠালোমিলাদ পড়লো বাড়ি বাড়ি

ওলাবিবি গেলেনআর দিনকয়েক পরে বৃষ্টি এল জোরে

এছাড়াও আমরা হাসান আজিজুল হকেরআগুনপাখি” (২০০৬ খ্রিঃ) উপন্যাসের মেতর বউএর জবানীতে লেখক লিখেছেন-

   ত্যাকনকার দিনে কে যি কীসে মরত ধরবার বাগ ছিল না এত রোগের নামও ত্যাকন জানত না লোকে ডাক্তারবদ্যিও ছিল না তেমন মরবার আগে মুখে যেদি ওষুধ পড়ত,তাই কত! পেরায় পিতি বছর কলেরা বসন্তেই কত যি লোক মরত,তার সীমাসংখ্যা নাই




উপরোক্ত বাংলা সাহিত্যিকদের উপন্যাসের আলোচনায় আমরা স্পষ্ট ভাবে দেখলাম,এখনো পর্যন্ত আমাদের হাতে এসে এমন কোন উপন্যাস পৌঁছায়নি,যার কেন্দ্রিয় বিষয় ছিল মহামারিমহামারিকে উপজীব্য করে এখন পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে কোন ঔপন্যাসিক উপন্যাস রচনা করেননিতবে, বর্তমান ক্রোনা ভাইরাসকে(COVID-19) কেন্দ্র করে হয়তো কোন উপন্যাস লেখা হবে এবং ভবিষ্যতে পাঠকদ্বারে পৌঁছবেতবে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমরা সকলেই চাই মারি কেটে যাক,স্থিত হোক মানুষসাহিত্য না হয় হবে পরেতবে,মহামারি বর্তমান স্মৃতিকে হারিয়ে যেতে দেওয়া চলবে নাএই স্মৃতিকে বুকে জড়িয়ে পরবর্তী এপিডেমিকের কাজে কি করে লাগানো যায় তারজন্য ভাবুক হতে হবে,ধরতে হবে কলম,মিলিয়ে নিতে হবে অভিজ্ঞতাকাল বদলালেও কালান্তরকে মনে করিয়ে দেবে সাহিত্যসেইজন্য দরকার বেঁচে থাকার প্রাণশক্তিকবির মতো আমাদেরকেও বলতে হবে-

   মন্বন্তরে মরিনি আমরা মারি নিয়ে ঘর করি






-এই মুহুর্তে মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবেস্বেচ্ছাসেবক,সাফাইকর্মী,বিজ্ঞানকর্মী,স্বাস্থ্যকর্মীর মনোবল বাড়াতে হবে,তবেই জয় করা যাবে বর্তমান এপিডেমিক বা মহামারিকেসেইসঙ্গে নচিকেতার গানের মতো মনে দুঃখ-ভয়-যন্ত্রণা রেখেও আশাবাদী হয়ে গেয়ে উঠতে হবে-

 একদিন ঝড় থেমে যাবে,পৃথিবী আবার শান্ত হবে

বসতি আবার উঠবে গড়ে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে

 

 


**************************************************************************************

 

তথ্যসূত্রঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘জীবস্মৃতি’, বিশ্বভারতী গ্রন্থ বিভাগ কতৃক প্রকাশিত, পৃঃ- ৩৩, ১৩১৯ বঙ্গাব্দ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ , ভারত

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘উপন্যাস সমগ্র’, সাহিত্যম্প্রকাশনী, প্রথম সংস্করণ ২০০৩ খ্রিঃ, পৃষ্ঠা-৩৫০, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, “বিরাজ বৌ”, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স প্রকাশনী, সপ্তবিংশ মুদ্রণ,বৈশাখ ১৩৬৪ বঙ্গাব্দ, কর্ণোয়ালিস স্ট্রীট, কলিকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, পৃঃ-১৮

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, “দেনাপাওনা”, কামিনী প্রকাশালয়, প্রথম প্রকাশ ১৩৬৫ বঙ্গাব্দ,কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, পৃঃ-২০১

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, “পুতুল নাচের ইতিকথা”, প্রকাশ ভবন প্রকাশনী, পঞ্চম মুদ্রণ, প্রথম সংস্করণ,কার্তিক ১৩৬৬ বঙ্গাব্দ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতপৃঃ- ৬৩

জহির রায়হান, “হাজার বছর ধরে”, অনুপম প্রকাশনী, পঞ্চম সংস্করণ ২০১২ খ্রিঃ, ঢাকা, বাংলাদেশ, পৃঃ-৪৭

তদেব, পৃঃ- ৪৯

তদেব, পৃঃ-৫০

হাসান আজিজুল হক, “আগুন পাখি”, দেজ প্রকাশনী, প্রথম সংস্করণ ২০০৮ খ্রিঃ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, পৃঃ-

 

 

IMG20190526164451.jpg

 

লেখক পরিচিতিঃ

ডঃ মীনাক্ষী পাল

গবেষক, লেখক

গৌহাটি, অসম

মোবাইল নম্বর-৯৬১২২৪৪৩০৬

হোয়াটস্অ্যাপ নম্বর- ৯৬১২২৪৪৩০৬

মেইল-minakshipaul21dec@gmail.com

 

No comments: