সাহিত্যে পরিবেশ-প্রকৃতি ও মানবজীবনের টানাপোড়েন
সাহিত্যে মহামারি প্রসঙ্গ ও মানবজীবনে তার প্রভাবঃপ্রসঙ্গ এপার ও অপার বাংলার উপন্যাস
-ডঃ মীনাক্ষী পাল
আমাদের এই ধরাভূমি যেমন প্রকৃতির অকৃপণ আশীর্বাদের ফলস্বরূপ সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা,তেমনি আবার নানান সামাজিক ও প্রাকৃতিক কারণে রোগশোকের
আবির্ভাবও এখানে নুতন কিছু নয় ।
বর্তমানে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে গোটা পৃথিবী করোণার(COVID-19) ভয়াবহ দুর্যোগের সময় অতিবাহিত করছে।কিন্তু এর আগে আমরা জানি বহুবার পৃথিবীতে মহামারি এসেছে, কিন্তু সমগ্র পৃথিবীর মানুষ সম্ভবত একই সঙ্গে এমন মহামারির
মুখোমুখি হয়নি। আমরা বাংলা সাহিত্য
সহ বিশ্বের বিভিন্ন সাহিত্যিকদের লেখায় মহামারি প্রসঙ্গ বিভিন্নভাবে উঠে আসতে দেখি,কিন্তু এমন কোন মহামারির কথা সম্ভবত কোথাও লেখা নেই,যে কিনা একই সঙ্গে গোটা পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ।
‘মহামারি’ চিরদিনই মাববসভ্যতায় মহাত্রাস নিয়ে এসেছে,এবং জনজীবনকে করেছে বিপর্যস্ত । এই ‘মহামারি’ শব্দটির সঙ্গে বাঙালির পরিচয় ঘটেছে কয়েক শতক আগেই,তবে তা কখনো মড়ক,কখনো মহামারি আবার কখনো ওলাওঠা বা ওলাবিবি,মড়িবিবি, ঝোলাবিবি নামেও সুপরিচিত ছিল। ব্যাধির বীজভরা কুঁজ নিয়ে তারা আসত দুর্দণ্ড প্রতাপে এবং মরণদণ্ড ঘোরাতে ঘোরাতে নিঃশেষ করে দিত জনপদের পর জনপদ। কত গ্রাম, কত গঞ্জ যে নিঃশেষ হয়েছিল তার কোন হিসেব নেই, আবার এটাও বলা চলে হিসেব রাখাটাও হয়তো সম্ভবপর ছিল না। আর, এমনই সব মড়কের কথা উঠে এসেছে বাংলা উপন্যাসেও। বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত সকল ঔপন্যাসিকের লেখায় বারবার স্থান করে নিয়েছে সেইসকল মহামারি প্রসঙ্গ। আর যদি বিশ্ব সাহিত্যের দিকে তাকানো যায়,তাহলে আমরা দেখবো ১৯১২ খ্রিঃ প্রকাশিত জ্যাক লণ্ডন’এর- “ The scarlet pledge”, ১৯৪৫ খ্রিঃ আলবেয়ার কামু’র- “ The Pledge”, ১৯৭০ খ্রিঃ গাব্রিয়াল গার্সিয়া মার্কেজ’এর-“One hundred years of solitude”, ১৯৭৮খ্রিঃ প্রকাশিত স্টেফেন কিং এর- “ The stand”, ১৯৮৫খ্রিঃ প্রকাশিত গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ’এর- “Love in the time of colera”, ১৯৯৫ খ্রিঃ হোসা দি সোসা সামারাগ’এর- “Blindness”, ২০১৭খ্রিঃ ডেয়ন মেয়ের’এর- “Fever”, ২০১৮খ্রিঃ প্রকাশিত লিনা মা’র-“Severance” উপন্যাসেও আমরা ডেঙ্গু, প্লেগ, স্প্যানিশ ফ্লু, স্মল পক্স (Small pox) নামক মহামারির কথা বারবার এসেছে এবং পেণ্ডেমিক, আইসোলেশন, আম্বুলেন্স, কোয়ারান্টাইন, লকডাউন, সোসিয়াল ডিস্টেন্সিং ইত্যাদি শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচিতিও ঘটে।
প্রসঙ্গত উল্ল্যেখ্য রবীন্দ্রনাথের প্রথম বাহির যাত্রা ডেঙ্গুর কারণেই। জীবনস্মৃতিতে তিনি সেকথা জানিয়েছেন-
“ একবার
কলিকাতায় ডেঙ্গুজ্বরের তাড়ায় আমাদের বৃহৎ পরিবারের কিয়দংশ পেনেটিতে ছাতুবাবুদের
বাগানে আশ্রয় লইল। আমরা তাহার মধ্যে
ছিলাম ।----এই প্রথম বাইরে
গেলাম।” ১
-বর্তমানে একটি পরিচিত শব্দ কোয়ারেণ্টাইন, যার ঈষৎ ইঙ্গিত মেলে রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্রের এই বর্ণনাতে ।
ঠাকুর পরিবারেও এই মহামারির প্রবেশ ঘটে বলে জানা যায়, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিশুকন্যাও মারা যায় প্লেগে। তবে,শান্তিনিকেতনে
মহামারি প্রবেশ করেনি,এর কারণ হিসেবে
চিঠিপত্রের ষষ্ঠ খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ পঞ্চতিক্ত পাচনের(নিম,গুলঞ্চ,বাসক,পলতা,কণ্টকারি) গুনের কথা জানান।
রবীন্দ্রনাথের “চতুরঙ্গ” উপন্যাসে(১৯১৪খ্রিঃ প্রকাশিত) আমরা দেখতে পাই প্লেগে জ্যাঠামশাইয়ের মৃত্যুর কথা। নাস্তিক জ্যাঠামশাই বাড়িতেই প্রাইভেট হাসপাতাল
খুলে গরিব মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন । কিন্তু, তিনিও আক্রান্ত হন এই রোগে । লেখকের বর্ণনায়-
“ যে বছর
কলিকাতা শহরে প্রথম প্লেগ দেখা দিল, তখন প্লেগের চেয়ে তার রাজ-তকমা পরা চাপরাসির
ভয়ে লোকে ব্যস্ত হইয়াছিল। –পাড়ায় প্লেগ
দেখা দিল। পাছে হাসপাতাল
ধরিয়া লইয়া যায় এজন্য লোকে ডাক্তার ডাকিতে চাহিল না। জগমোহন স্বয়ং প্লেগ হাসপাতাল দেখিয়া আসিয়া বলিলেন, ‘ব্যামো হইয়াছে বলিয়া তো মানুষ অপরাধ করে নাই। তিনি চেষ্টা করিয়া নিজের বাড়িতে প্রাইভেট
হাসপাতাল বসাইলেন ।”
২
রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও আমরা যদি শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের দিকে তাকাই,তাহলে আমরা সেখানেও বারংবার পাই এই মহামারি প্রসঙ্গ। ১৯১৪খ্রিঃ প্রকাশিত “বিরাজ বৌ” উপন্যাসে কলেরা বা
ভেদবমি সংক্রমণের কথা জানা যাচ্ছে। বিরাজ তার অসুস্থ স্বামী নিলম্বরকে উদ্দেশ্য করে বলে-
“ ঘরে ঘরে
জ্বর ঘরে ঘরে বসন্ত-এই রোগা দেহ নিয়ে
রোগী ঘাটতে চলল-আচ্ছা যাও আমারো ভগবান আছেন ।” ৩
১৯২০ খ্রিঃ প্রকাশিত শরৎচন্দ্রের “গৃহদাহ” উপন্যাসেও আমরা দেখতে পাই প্লেগ ও
মহামারি মাঝেমধ্যেই উপন্যাসে ক্যানভাস হিসেবে আসছে এবং উপন্যাসের শেষে সুরেশ তার
যাবতীয় অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত করতেই কঠোর প্লেগের মাঝে রোগীদের সেবা করতে গিয়েই
নিশ্চিন্ত মৃত্যুমুখে নিজেকে ঠেলে দেয়।
তাছাড়া, ১৯২৩ খ্রিঃ প্রকাশিত শরৎচন্দ্রের “দেনাপাওনা” উপন্যাসে
জীবনানন্দের মতো পরাক্রান্ত ভূস্বামীকে কাঁদতে দেখা যায় গৃহহীন উমাচরণের কলেরায়
মৃত স্ত্রীর খবর শুনে। জীবনানন্দের ভাষ্য
লেখকের বর্ণনায় –
“এই ফাল্গুনের শেষে
বিসূচিকা রোগে তাহার স্ত্রী মরিয়াছে। উপযুক্ত দুই পুত্র একে একে চোখের উপর বিনা চিকিৎসায় প্রাণত্যাগ করিয়াছে,সে কোন উপায় করিতে পারে নাই। অবশেষে জীর্ণ ঘরখানি সে তাহার বিধবা
ভ্রাতুষ্কন্যাকে দান করিয়া চিরদিনের মতো গৃহত্যাগ করিয়া আসিয়াছে।এ জীবনে আর তাহার ফিরিবার আশা নাই।এই বলিয়া সে ছেলেমানুষের মতো হাউহাউ করিয়া
কাঁদিতে লাগিল। জীবনানন্দের চোখ
দিয়া টপটপ করিয়া জল পড়িতে লাগিল।” ৪
এই সকল মহামারি বিভিন্ন দশকে ও শতকে বিভিন্ন নামে বাংলা ভারতে এসেছে ।কখনো প্লেগ, কখনো কলেরা, কখনো এইডস্,কখনো ডেঙ্গু, টাইফয়েড, সোয়াইন ফ্লু, কখনো বার্ড ফ্লু, আর বর্তমানে করোনা বা কভিড- ১৯। কিন্তু, যখনই আসত তখনই চোখের নিমেষে শেষ করে দিত জনপদের পর জনপদ। কত গ্রাম, কত গঞ্জ। মানিক
বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৯৩৬খ্রিঃ প্রকাশিত “ পুতুল নাচের ইতিকথা” উপন্যাসের গাওদিয়া
গ্রামও ছিল সেসকল জীবানুর তীর্থ ।
উপন্যাসের নায়ক শশী চেয়েছিল দুঃখী মানুষগুলোর সেবা করতে,তাই সে নিজের গ্রাম গাওদিয়ায় থাকতে চেয়েছিল। গাওদিয়া গ্রামের প্রকৃতি ছিল নিষ্করুণ,তবে গ্রামের অন্যতম বিপদ ছিল মহামারি। প্রায়ই ছড়িয়ে পড়ত কলেরা, টাইফয়েড, কালাজ্বর ও বসন্তের
মতো রোগগুলো। শশী ডাক্তার তার
সাধ্যের সীমা অবধি চেষ্টা করেছিল, কাউকে কাউকে
সারিয়েও তুলেছিল। কিন্তু তার একার
পক্ষে কতদূর সম্ভব! গ্রামের মানুষের নিমজ্জিত ছিল অশিক্ষায় ও কুসংস্কারে। স্বাস্থ্য বিধির কোন নিয়মই তারা জানত না, জানলেও পালন করত না। বর্ষা এবং বসন্ত ঋতু তাই সুন্দর ছিল না। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় আদ্র- কর্দমাক্ত পল্লিকে তাই দেখিয়েছেন ‘জীবানুর তীর্থ’ হিসেবে। শশী ডাক্তারের কাছে
গাওদিয়ার গ্রাম ছিল অত্যন্ত নরক পর্যটন। যা লেখকের বর্ণনায় সুন্দরভাবে ফুটে উঠে, সেইসঙ্গে উঠে আসে গাওদিয়া গ্রামের জনগনের গ্রাম ও মহামারি
সম্পর্কের ধারণার কথা।
“ পূজার পর
গাওদিয়ার স্বাস্থ্য ক্রমে ক্রমে ভালো হয়। ম্যালেরিয়া কমিয়া আসে,কলেরা বন্ধ
হয়,লোকের ক্ষুধা বাড়ে, মাছ-দুধ সস্তা হয়। নিউমুনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় কেবল দুই-দশজন মারা যায় – সে কিছু নয় ।” ৫
অপার বাংলার কথাসাহিত্যিকদের লেখনীতেও এই সকল মহামারি স্থান করে নিয়েছিল এপার
বাংলার মতো। বিখ্যাত
কথাসাহিত্যিক জহির রায়হানের “হাজার বছর ধরে”(১৯৬৪ খ্রিঃ) উপন্যাসে কলেরা মড়ক বর্ণিত হয়েছে। সেখানেও এসেছে ভেদবমি, ওলাবিবি প্রসঙ্গ ।হিন্দুর লৌকিক দেবী ওলা চণ্ডীকে মুসলমানেরা বলে
ওলাবিবি। সেই ওলাবিবির
পাদুর্ভাবে শান্ত একটি গ্রামের জীবনযাত্রা কীভাবে পাল্টে যায়,তাই বর্ণিত হয়েছে উপন্যাসটিতে।
সেই ওলাবিবির প্রকোপে সেখানে একসঙ্গে মাঝি বাড়ির দু’দুটি প্রাণ ছাড়াও আরো দশ-বারোটি প্রাণকে চলে যেতে হয়। লেখকের বর্ণনায়-
“নন্তু শেখ মারা গেল। হাঁপানি জর্জর-করিম শেখ মৃত বাবার দেহের পাশে বসে কাঁদছে। অম্বিয়া কাঁদছে তার বিছানায় শুয়ে। ওলাবিবি তাকেও ভর করেছে। তাই বিছানা ছেড়ে ওঠার শক্তি পাচ্ছে না মেয়েটা। সেখান থেকেই কাঁদছে সে।” ৬
-এই যে ওলাবিবির প্রসঙ্গ লেখক এনেছেন,সেই ওলাবিবির পরিচয় দিতে গিয়ে মকবুলের প্রথমা পত্নী আমেনা
তার ছোট সতীন টুনিকে বলে-
“ ওলাবিবি, বসন্তবিবি আর যক্ষ্মাবিবি ওরা ছিল তিন বোন। তিন বোন একপ্রাণ। যেখানে যেত একসঙ্গে যেত। ---
একদিন যখন খুব সুন্দর করে সেজেগুজে ওরা রাস্তায় হাওয়া খেতে
বেরিয়েছিল তখন হঠাৎ হজরত আলীর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল ওদের।---তিনি বুঝতে পারলেন এদের একজন কলেরা, একজন বসন্ত আর একজন যক্ষ্মাবিবি। মানুষের সর্বনাশ করে বেড়ায় এরা। আর তহনি এক কাণ্ড কইর্যা বসলেন তিনি।খপ কইর্যা না ওলা
বিবির একখান হাত ধইর্যা দিলেন জোরে এক আছাড়। আছাড় খাইয়া একখানা পা ভাইঙ্গা গেল ওলাবিবির।”৭
-প্রসঙ্গত উল্ল্যেখ্য, এই কল্পকাহিনীর উপর ভিত্তি করে পরীদিঘির পারের গ্রামের লোকেরা ওলাবিবিকে খোঁড়া
বিবি বলেও কৌতুক করত। শুধু তাই নয়, তারা গ্রামে খোঁড়া যেকোন কিছু যেমন কুকুর,মোরগ,গরু, শিয়াল এমনকি মানুষ দেখলেও ভেবে নিত সেটা ওলাবিবিরই প্রতিরুপ। তাই গ্রামের সকলকে মকবুল জানিয়ে দেয় খোঁড়া যে কোন
কিছুই নজরে আসলে তাকে তাড়িয়ে যেন খাল পার করে দেয়। কিন্তু, গ্রামের সকলের চোখে ধুলো দিয়ে সেখানেও ওলাবিবি আসে এবং অবশেষে চলেও যায়। লেখক জানান-
“ অবশেষে আরও
দশটি প্রাণ হরণ করে তবে গ্রাম থেকে বিদায় নিলেন ওলাবিবি। গ্রামের সবাই মসজিদে সিন্নি পাঠালো। মিলাদ পড়লো বাড়ি বাড়ি।
ওলাবিবি গেলেন। আর দিনকয়েক পরে
বৃষ্টি এল জোরে।”
৮
এছাড়াও আমরা হাসান আজিজুল হকের “আগুনপাখি”
(২০০৬ খ্রিঃ) উপন্যাসের মেতর বউ’এর জবানীতে লেখক লিখেছেন-
“ত্যাকনকার দিনে কে যি কীসে মরত ধরবার বাগ ছিল না। এত রোগের নামও ত্যাকন জানত না লোকে। ডাক্তারবদ্যিও ছিল না তেমন। মরবার আগে মুখে যেদি ওষুধ পড়ত,তাই কত! পেরায় পিতি বছর কলেরা বসন্তেই কত যি লোক মরত,তার সীমাসংখ্যা নাই।” ৯
উপরোক্ত বাংলা সাহিত্যিকদের উপন্যাসের আলোচনায় আমরা স্পষ্ট ভাবে দেখলাম,এখনো পর্যন্ত আমাদের হাতে এসে এমন কোন উপন্যাস পৌঁছায়নি,যার কেন্দ্রিয় বিষয় ছিল মহামারি। মহামারিকে উপজীব্য করে এখন পর্যন্ত বাংলা
সাহিত্যে কোন ঔপন্যাসিক উপন্যাস রচনা করেননি। তবে, বর্তমান ক্রোনা ভাইরাসকে(COVID-19) কেন্দ্র করে
হয়তো কোন উপন্যাস লেখা হবে এবং ভবিষ্যতে পাঠকদ্বারে পৌঁছবে। তবে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমরা সকলেই চাই মারি
কেটে যাক,স্থিত হোক মানুষ। সাহিত্য না হয় হবে পরে। তবে,মহামারি
বর্তমান স্মৃতিকে হারিয়ে যেতে দেওয়া চলবে না। এই স্মৃতিকে বুকে জড়িয়ে পরবর্তী এপিডেমিকের কাজে
কি করে লাগানো যায় তারজন্য ভাবুক হতে হবে,ধরতে হবে
কলম,মিলিয়ে নিতে হবে অভিজ্ঞতা। কাল বদলালেও কালান্তরকে মনে করিয়ে দেবে সাহিত্য। সেইজন্য দরকার বেঁচে থাকার প্রাণশক্তি। কবির মতো আমাদেরকেও বলতে হবে-
“মন্বন্তরে মরিনি
আমরা মারি নিয়ে ঘর করি”।
“একদিন ঝড় থেমে যাবে,পৃথিবী আবার শান্ত হবে।
বসতি আবার উঠবে গড়ে, পৃথিবী আবার শান্ত
হবে।”
**************************************************************************************
তথ্যসূত্রঃ
১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘জীবস্মৃতি’, বিশ্বভারতী গ্রন্থ
বিভাগ কতৃক প্রকাশিত, পৃঃ- ৩৩, ১৩১৯ বঙ্গাব্দ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ , ভারত ।
২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘উপন্যাস সমগ্র’, সাহিত্যম্ প্রকাশনী, প্রথম সংস্করণ ২০০৩ খ্রিঃ, পৃষ্ঠা-৩৫০, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
৩। শরৎচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায়, “বিরাজ বৌ”, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স প্রকাশনী, সপ্তবিংশ মুদ্রণ,বৈশাখ ১৩৬৪
বঙ্গাব্দ,
কর্ণোয়ালিস স্ট্রীট, কলিকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, পৃঃ-১৮
৪। শরৎচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায়, “দেনাপাওনা”, কামিনী প্রকাশালয়, প্রথম প্রকাশ ১৩৬৫ বঙ্গাব্দ,কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত,
পৃঃ-২০১।
৫। মানিক
বন্দ্যোপাধ্যায়, “পুতুল নাচের ইতিকথা”, প্রকাশ ভবন প্রকাশনী, পঞ্চম মুদ্রণ, প্রথম সংস্করণ,কার্তিক ১৩৬৬ বঙ্গাব্দ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।পৃঃ-
৬৩।
৬। জহির রায়হান, “হাজার বছর ধরে”, অনুপম প্রকাশনী, পঞ্চম সংস্করণ ২০১২
খ্রিঃ,
ঢাকা, বাংলাদেশ, পৃঃ-৪৭।
৭। তদেব, পৃঃ- ৪৯।
৮। তদেব, পৃঃ-৫০।
৯। হাসান
আজিজুল হক, “আগুন
পাখি”, দে’জ প্রকাশনী, প্রথম
সংস্করণ ২০০৮ খ্রিঃ,
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, পৃঃ- ৭।
লেখক পরিচিতিঃ
ডঃ মীনাক্ষী পাল ।
গবেষক, লেখক
গৌহাটি, অসম
মোবাইল নম্বর-৯৬১২২৪৪৩০৬
হোয়াটস্অ্যাপ নম্বর- ৯৬১২২৪৪৩০৬
মেইল-minakshipaul21dec@gmail.com
No comments:
Post a Comment